আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
প্রচারণায় বিক্ষোভকারীদের ‘পাথর হামলার’ শিকার হলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একটি বিয়ার কারখানা পরিদর্শন শেষে বাসে করে ফেরার পথে তার দিকে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে মারেন। অবশ্য তিনি আহত হননি বলে জানাচ্ছে বিবিসি।
আগস্টের মাঝামাঝি ছায়া নির্বাচনের ঘোষণা দেন ট্রুডো। তার লিবারেল পার্টির নেতৃত্বাধীন সংখ্যালঘু সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়াতে এমন ঘোষণা। এবার সেই ছায়া নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়েই এমন পরিস্থিতির শিকার হলেন ট্রুডো।
প্রচারণা শুরুর পর থেকে ট্রুডো ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। টিকা বাধ্যতামূলক ও অন্যান্য বিধিনিষেধ নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। ভীড়ের মধ্যে একজনের হামলে পড়ার পর গত সপ্তাহেই একটি প্রচারণা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
অন্টারিও প্রদেশের ওই ঘটনার পর ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ক্ষুব্ধ ওই বিক্ষোভকারীর হামলায় কাঁধে আঘাত পেয়েছেন তিনি। আর ওই ঘটনাকে ২০১৬ সালে তাকে লক্ষ্য করে এক নারীর কুমড়ো বীজ ছুড়ে মারার সঙ্গে তুলনা করেন ট্রুডো।
কানাডার সিটিভির এক প্রতিবেদক বলছেন, সেখানে আরও দুজন গণমাধ্যমকর্মীও পাথর হামলার শিকার হয়েছেন। তারা অবশ্য আহত হননি। বিরোধীদল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এরিন ও’টোলে এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘ এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না এবং আমাদের গণমাধ্যমগুলোকে যেকোনো ধরনের হুমকি, হয়রানি ও সহিংসতা থেকে মুক্ত রাখতে হবে।’
ট্রুডোর টিকা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের ছায়া নির্বাচনে তার সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় ইস্যু বলে জানাচ্ছে বিবিসি। এছাড়া কোভিড সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে কানাডা ঘোষণা দেয় ফেডারেল সরকারের অধীনস্থসহ দেশটির সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। অক্টোবরের মধ্যে টিকা নেওয়া না হলে চাকরি হারাতে পারেন বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
বিএসডি/এএ