ক্রীড়া ডেস্ক,
সে চাপ সামাল দিতে আবারও দায়িত্ব নিতে হয়েছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে, সঙ্গে ছিলেন নাঈম। দুজনই ঢুকে যান খোলসে, ১২তম ওভারে শুধু একটা ছয় মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ডাবলস নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে নাঈম ফিরেছেন ১৫তম ওভারে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে একটা সূক্ষ্ম স্টাম্পিং থেকে বেঁচে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেনকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই ফিরেছেন। ম্যাকনকিকে মারা তাঁর চারেই জয় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাঁহাতি ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে শূন্যতে ফেরান নাসুম আহমেদ। প্রথম ৪ বলে ডটের চাপ রবীন্দ্র কমাতে চেয়েছিলেন বড় শটের চেষ্টায়, তবে সেটা ব্যর্থ হয়েছে তাঁর। ফাইন লেগে সাইফউদ্দিনের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। পরের ওভারে এসে নাসুম ফিরিয়েছেন ফিন অ্যালেনকেও। আগেরদিনের মতোই ইতিবাচক শুরু করা অ্যালেন রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন, তবে শর্ট লেংথ থেকে বলটা তুলতে পারেননি ঠিকঠাক। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আবারও ক্যাচ নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
১৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া নিউজিল্যান্ডকে উদ্ধারের কাজটা শুরু করেছিলেন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। পাওয়ার প্লেতে ২২ রান উঠলেও এগোচ্ছিলেন দুজন, তাঁদের ৩৫ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান। মেহেদীকে একটা চার মারার পর ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে এসে বিশাল টার্নে ধোঁকা খেয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ল্যাথাম, সে বলটা মিস করে স্টাম্পড হয়েছেন তিনি।
১১তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে জোড়া আঘাত করেছেন নাসুম, সেটাও পরপর দুই বলে। প্রথমে ফুল লেংথ থেকে টার্ন করে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হয়েছেন আগের দিন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের অন্যতম নায়ক হেনরি নিকোলস। ঠিক পরের বলে ব্যাট বাড়িয়ে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। সে ওভারও মেডেন করেছেন নাসুম। টি-টোয়েন্টিতে নাজমুল ইসলামের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক ইনিংসে দুই মেডেন নিলেন তিনি। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেটের ফিগার নিয়ে বোলিং শেষ করেছেন তিনি, বাংলাদেশের হয়ে এর চেয়ে কম রান দিয়ে ৪ উইকেট আছে শুধু সাকিবের (৪/৯)।
টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে উইল ইয়াং আরেক দফা লড়াই শুরু করেছিলেন, এবার মোস্তাফিজের বোলিংয়ে ভেস্তে গেছে সেটা। ১৬তম ওভারে এসে ব্লান্ডেলের পর ম্যাকনকিকে ফিরিয়েছেন তিনি। ব্লান্ডেল সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে লং অনে নাঈমের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন। আর নিজের বলে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ম্যাকনকির ক্যাচটা নিয়েছেন মোস্তাফিজ নিজেই। মাঝে এজাজ প্যাটেলকে ভালো একটা ইয়র্কারে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন।
ইয়াংয়ের ফিফটি বা কিউইদের ১০০, কোনোটিই হয়নি মোস্তাফিজের শেষ ওভারের জোড়া আঘাতে। তাঁর কাটার বুঝতে না পেরে প্রথমে ক্যাচ দিয়েছেন ইয়াং, পরের বলে ব্লেয়ার টিকনার। মোস্তাফিজ ৪ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ১২ রান।
সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী শুক্রবার।
বিএসডি/এএ