প্রযুক্তি ডেস্ক:
বিপণন প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বইনামা.কম। খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন এর কর্ণধার রাশেদুল হাসান।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কথা বলেন রাশেদুল হাসান। এ সময় তিনি বলেন—‘বইনামা.কম একটি বিপণন প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। ওয়েব সাইট ডেভেলপমেন্টের কাজ প্রায় শেষের দিকে। লেখক, প্রকাশনী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের কাজও চলছে। আশা করছি, আগামী অক্টোবরের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পারব।’
বইনামা.কম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ কেন নিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশেদুল হাসান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখালেখি ও প্রকাশনীর সঙ্গে যুক্ত আছি। করোনা সংকটের কারণে দেশে প্রকাশনী শিল্প বা বিপণন শিল্প এক প্রকার থমকে আছে। এই পরিস্থিতিতে বই বা অন্য যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে মানুষ অনলাইনের উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ই-কর্মাস কেন্দ্রিক কিছু নেতিবাচক ঘটনা আলোচনায় এসেছে। যারা প্রতারণা করছে তাদের বাদ দিয়ে যদি রকমারির কথা বলি, তারা কিন্তু বইয়ের সেক্টরটি দখল করে আছে। কারণ একটাই তারা মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে। যারা সততার সঙ্গে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য ই-কমার্স বা অনলাইন একটি ভালো মাধ্যম। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা দুজনেই উপকৃত হচ্ছেন।’
সহজে বই সংগ্রহ করতে না পারার কারণেও মানুষ বই কম পড়েন বলে মনে করেন রাশেদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মানুষ বই কিনতে চান না, পড়তেও চান না। এর অন্যতম কারণ বই সংগ্রহ করা কঠিন। ভালো কোনো বই সংগ্রহ করতে হলে, নীলক্ষেত কিংবা বাংলাবাজারে যেতে হয়। এক্ষেত্রে রকমারির মতো প্রতিষ্ঠান সহজেই মানুষের দরজায় বই পৌঁছে দিচ্ছে। বইয়ের ক্ষেত্রে রকমারি ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান সেভাবে দাঁড়াতে পারছে না। সেখান থেকেই মূলত বইনামা.কম প্রতিষ্ঠার ভাবনা। বই প্রকাশ, প্রচার ও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই বইনামার উদ্দেশ্য।’
বইনামা.কম শুধু বিপণন করবে না, একই নামে প্রকাশনী সংস্থাও থাকবে। পাশাপাশি ই-বুক নিয়ে আসবে প্রতিষ্ঠানটি। যতটা সম্ভব ই-বুক ফ্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছেন রাশেদুল হাসান।
বিএসডি/আইপি