২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর এই প্রথম বাংলাদেশ কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছে তামিমকে ছাড়াই। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর একই বছর শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকাতে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দলে ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে খেলেছেন আরও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তামিমের নামের পাশে আছে আরও তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা (২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯)। সে কারণেই নিজে থেকে সরে দাঁড়ালেও প্রধান নির্বাচক যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণা করছিলেন, তখন ‘তামিম’ নামটির অনুপস্থিতি অন্য রকম অনুভূতিই ছড়িয়েছে সবার মধ্যে।
চোট ও ব্যক্তিগত কারণে তামিম অবশ্য ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের সিরিজের পর থেকেই বাংলাদেশের হয়ে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। এ সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে ১৬টি টি-টোয়েন্টি। কেবল সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে এতগুলো ম্যাচ না খেলার পরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে ঢুকে পড়তে চাননি তামিম। নিজে থেকেই বিশ্বকাপের মতো আসরের স্কোয়াড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার নজির দেশে ও দেশের বাইরে খুব বেশি নেই—এটা বলা যায়।
বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে তামিম ইকবালকেও দলে না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল মিনহাজুল, ‘তামিম তিন সংস্করণেই আমাদের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। আমরা তাঁকে বিশ্বকাপে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু পাইনি। এটা আমাদেরও দুর্ভাগ্য। আমরা তাঁকে মিস করব।’
তামিম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ৭৮টি। এর মধ্যে বিশ্বকাপে খেলেছেন ২৩টি। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তিনিই। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
বিএসডি/এএ