নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে। এমন চিত্র দেখে অবশ্য বাংলাদেশিদের খুশি হবার কিছু নেই।
কেননা ইতোমধ্যে ২৫৯ রানের লিড পেয়েছে লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
অপরপ্রান্তে এক রানে মাঠ ছেড়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তবে ২ রান করা ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নেকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
আর লিটন দাশের স্টাম্পিংয়ে ওশাদা ফার্নান্দো এক রানে তাইজুল ইসলামের বলে মাঠ ছাড়েন।
প্রথম ইনিংসে ২৫১ রানে অলআউট হয়বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস থেকে ২৪২ রানে পিছিয়ে। তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে শেষ ৩৭ রানে ৭ উইকেট হারায়। টপঅর্ডারের কয়েকজন ছাড়া বাকিরা কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
অভিষেক হওয়া লঙ্কান স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রম বাজিমান করেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ইনিংসেই ৩২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৭ মেডেন ও ৯২ রান দিয়ে ৬টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন সুরাঙ্গা লাকমল ও রমেশ মেন্ডিস।
এর আগে শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়ের জবাবে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। প্রথম টেস্টে নব্বইয়ের ঘরে আউট হওয়া তামিম ইকবাল এদিনও ফিরেছেন নড়বড়ে নব্বইয়ে।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (০১ মে) সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামে দু’দল। যেখানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান মিলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন। প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে সাইফ ২৫ করে ফেরেন। তবে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত রমেশ মেন্ডিসের বলে শূন্য রানে আউট হন।
কিন্তু উইকেটে অবিচল থাকেন তামিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তিনি অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে ৫২ রান তোলেন। তবে নড়বড়ে নব্বইয়ে ফের প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই বাঁহাতি তারকা ওপেনার। জয়াবিক্রমের বলে থিরিমান্নেকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৫০ বলে ১২টি চারে ৯২ রান করেন।
এরপর ছোট ছোট জুটি গড়ে ফিরে যান মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিমও। মুমিনুল ১০৪ বলে ৭টি চারে ৪৯ রান করে মেন্ডিসের বলে মাঠ ছাড়েন। ৬২ বলে ৪০ করেন মুশফিক। আর জয়াবিক্রমের চতুর্থ শিকার হয়ে আউট হন লিটন দাশ (৮)।
এর আগে শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ইনিংস ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৯৩ রানে ঘোষণা করে। ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিরোশান ডিকভেলা। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ৪টি উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন।