স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে শিক্ষার জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে ডিএনসিসির উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিচালিত তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার আগেই ডিএনসিসি এলাকার প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষে ফগিং ও স্প্রে করা, খেলার মাঠ ও ছাদসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি টয়লেট কিংবা অন্য কোথাও পানি জমে থাকলে সেখানে লার্ভিসাইডিং করাও সম্পন্ন হবে। বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় আজ মিরপুরের দারুস সালাম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সরকারি, বেসরকারি ও আধাসরকারি মোট ৪৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আজ শেষ দিন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণটিকার আওতায় করোনার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোতে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের জন্য ব্যবহৃত সব শ্রেণিকক্ষে যেন মাস্ক পরিহিত অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেজন্য তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন। সময়ের চাহিদায় সবাই মিলে ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে।
তিনি বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবাকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকায় সুস্থ পরিবেশ গড়তে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিএসডি/এমএম