নিজস্ব প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তাজহাট মেট্রোপলিটন থানায় দু’টি ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিফাত হোসেন আলফি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রিফাত হোসেন আলফি উত্তর আশরতপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
শনিবার (১১সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগর ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আরপিএমপি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
তিনি বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ভোরে এবং বৃহস্পতিবার রাতে বেরোবি’র এক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ওপর ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
আবু মারুফ বলেন, বর্তমানে আহত শিক্ষক মনিরুজ্জামান মজনু রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, অন্যদিকে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পরাগ ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মহানগর তাজহাট থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়। সেই মামলার সূত্র ধরে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উত্তর আশরতপুরের নিজ বাড়ি থেকে রিফাত হোসেন আলফিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আলিফ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে ছিনতাইকৃত দু’টি মোবাইল সেট ও ছিনতাইকৃত টাকার মধ্যে তার ভাগের সাতশত টাকাসহ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় তার সঙ্গে আরও দু’জন ছিনতাইকারী অংশগ্রহণ করেছিলো। তাদেরও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার কোতোয়ালি জোন আলতাফ হোসেন, তাজহাটা থানার ওসি আক্তারুজ্জামান প্রধান, মামলার বাদি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরে সহকারী প্রোক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইজারা আলী উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/আইপি