নিজস্ব প্রতিনিধি:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবানরা সরকার গঠন করেছে। এই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করছে। পর্যবেক্ষণের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাংলাদেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কি না।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজ শেষে বিকেলে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জমি হস্তান্তর সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে অয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পরে অনেকে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল, দিবাস্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আফগানিস্তানের তালেবান দেখেও দিবাস্বপ্নে বিভোর থেকে লাভ নেই। বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টানের অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থা চলছে, সেটাই চলবে। অন্য কিছু দেখে কারও কোনো অভিলাষে লিপ্ত হওয়ার অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের উন্নয়নের কারিগর শেখ হাসিনা। তিনি বিশ্বখ্যাত মানবতার জননী। দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় মশাল হাতে এগিয়ে যান তিনি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান করতে চান না। দেশে খুব অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠান আছে তার নামে। শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্র তার মধ্যে অন্যতম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল। তিনি বলেন, জমির অভাবে আমাদের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর নামে এ প্রতিষ্ঠান না হলে আমরা এত খাটাখাটনি করতাম না। এই জমি পেতে আমাদের বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। জমিদাতাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে দেখেছি। শেখ হাসিনার কার্যক্রম দেখে আমরা বুঝতে পারি বঙ্গবন্ধু কত বড় মনের মানুষ ছিলেন। আমরা এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ক্রীড়াবিদকে সহায়তা প্রদান করেছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক আব্দুল জলিল, সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম, শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাপরিচালক আব্দুল করিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৮ একর জমিতে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে। আরও ৩.৩৮ একর জমি আজকে প্রদান করার জন্য দুই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হলো।
বিএসডি/আইপি