টানা ৮ দফা ভোটের পর গতকাল রোববার হওয়া গণনায় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার জয় তুলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নীলবাড়ির গদির আসনে আরও একবার বসতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নিজ আসনে হেরে গেছেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজে হারলেও মুখ্যমন্ত্রী হতে বাধা নেই মমতার।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নিয়ম অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের বিধায়করা তাদের পরিষদীয় নেতা নির্বাচন করবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচিত নেতা বিধায়ক না হলেও কোনো অসুবিধা নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে জিততে হবে যেকোনো বিধানসভা নির্বাচনে। যেহেতু প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের দুই আসনে নির্বাচন হয়নি, তাই ৯০ দিনের মধ্যে ওই আসন দুটিতে ভোট আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এক্ষেত্রে উপনির্বাচনে জয় পেয়ে মমতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে নিজ দলের জন্য যাদের প্রার্থিতায় নামিয়েছিলেন দিদি, তাদের প্রায় সবাইকেই জিতিয়ে এনেছেন নিজ নির্বাচনী কৌশলে। বাজিমাৎ দেখিয়েছেন কেন্দ্র শাষিত দল বিজেপির তারকা প্রার্থীদের।
হারের তালিকায় আছেন পার্ণো মিত্র, রুদ্রনীল ঘোষ, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও পায়েল সরকারের মতো তারকারা।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির পক্ষে ২৫ জন তারকা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এর মধ্যে জিতলেন ১১ জন। জয়ীদের মধ্যে বেশির ভাগই তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে হেরে গেছেন ১৪ জন। তাদের বেশির ভাগই বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গেরুয়া শিবির থেকে যারা প্রার্থিতা করেছিলেন, তাদের মধ্যে জয় পেয়েছেন শুধুমাত্র অগ্নিমিত্রা পাল ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হেরেছেন পায়েল সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, অঞ্জনা বসু, সায়নী ঘোষ, পার্নো মিত্র, দেবদূত ঘোষ, তনুশ্রী চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পাপিয়া অধিকারী ও যশ দাশগুপ্ত।
তৃণমূল থেকে হেরেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। হারের তালিকায় রয়েছেন দেবদূত এবং সায়নীর মতো সংযুক্ত মোর্চার তারকা প্রার্থীরাও।