পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে বিবেচনা করে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান ইস্যুতে দেশটির ভূমিকা পর্যালোচনা করে তৈরি হবে ন্যাটো–বহির্ভূত (এমএনএন) মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত সম্পর্কের রূপরেখা। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সমালোচনার মুখে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর কংগ্রেসে সোমবার প্রথম তালেবান প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ব্লিঙ্কেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে উত্তপ্ত শুনানি চলাকালে এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের পদত্যাগের দাবিও উঠেছিল।
কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সামনে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে পাকিস্তানের একাধিক স্বার্থ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়াশিংটনের স্বার্থের বিরোধী। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করার প্রশ্ন উঠলে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘মার্কিন প্রশাসন শিগগিরই তেমনটা করতে চলেছে।’
কংগ্রেসম্যান জোয়াকুইন ক্যাস্ট্রো ব্লিঙ্কেনকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তালেবানকে দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন ও গোষ্ঠীটির নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে এখন কি যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন ও ন্যাটো-বহির্ভূত প্রধান মিত্র হিসেবে ইসলামাবাদের অবস্থানকে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে?’
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আপনারা যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন, সেগুলো বিবেচনার কথা আমরাও ভাবছি। পাকিস্তান গত বিশ বছর ধরে যে ভূমিকা পালন করেছে, আগামী দিনগুলোতে আমরা তা পুনর্মূল্যায়নের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে আমরা পাকিস্তানকে যে ভূমিকায় দেখতে চাই, তার সবকিছু বিবেচনা করা হবে।’
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারের বিরুদ্ধে তালেবানের লড়াইয়ে মদত জুগিয়েছে পাকিস্তান। একাধিকবার এই অভিযোগ উঠলেও ইসলামাবাদ অবশ্য বারবারই তা উড়িয়ে দিয়েছে। তবে তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের সূত্র অনেক গভীর বলেই দাবি কূটনীতিকদের।