ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক
স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন, বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ এবং শর্তসাপেক্ষে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের দেখা করে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা৷
শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ হলো , চতুর্থ বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতা সঠিক ভাবে পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে অথবা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষার নোটিশ প্রদান করতে হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস যাচাই। শিক্ষার্থীদের যে কোন ধরনের একাডেমিক সমস্যা নিজ কলেজের মাধ্যমে সমাধান করা। সকল বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ এবং বিভিন্ন বিভাগের আটকে থাকা পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কিছুদিন আগে প্রকাশিত চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হয়েছে। অনেকেই কঠিন সব বিষয়ে পাশ করতে পারলেও সহজ একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। যার কারণে মাস্টার্সেও ভর্তি হতে পারছেন না এসব শিক্ষার্থীরা। তাই এই মুহূর্তে তারা চাইছেন সেসব খাতা আবার দ্বিতীয় পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করা হোক এবং অকৃতকার্য হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দেয়া হোক।
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী বাপ্পী বলেন , সাত কলেজের এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী কেন ফেল করছে তার কারণ আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। । আমরা প্রশাসনকে বলেছি খাতা পুনঃমূল্যায়ন করে ফেল করার কারণ জানাতে। কিন্তু তারা আমাদের কথা কোন আমলে নেয়নি। আমরা চাই দ্রুত বিশেষ পরীক্ষা নেওয়া হোক এবং আমাদেরকে শর্তসাপেক্ষে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেয়া হোক। সরকারি তিতুমীর কলেজে মার্কেটিং বিভাগে একটি বিষয়ে ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৫ জন ফেল করেছে বলেও জানান এই শিক্ষার্থী৷
খাতা একবার মূল্যায়নের অভিযোগ তুলে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আফরোজা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয়ের দায়ভার সাত কলেজ শিক্ষকদের৷ সাত কলেজের সবচেয়ে বড় সমস্যা একবারই খাতা মূল্যায়ন করা হয়। যদি দ্বিতীয়বার আরো একজন শিক্ষক এটি নিরীক্ষণ করতেন তবে হয়তো এত বিপর্যয় হতো না।
তবে স্নাতকোত্তর শ্রেনীতে শর্ত সাপেক্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগের বিষয়টি সাত কলেজ প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয় জানিয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেছেন, সাত কলেজের একাডেমিক বিষয়সমূহে সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই মুহুর্তেই পরীক্ষা চলমান রয়েছে এবং বেশ কয়েকটির রুটিনও প্রকাশিত হয়েছে। এরমাঝেও বিশেষ পরীক্ষার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরাও চাচ্ছি বিশেষ পরীক্ষা নেয়ার মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে। আগেও গত ২৯ আগস্ট চার দফা দাবিতে নীলক্ষেত অবরোধ করেছিলো সাত কলেজের স্নাতক ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
বিএসডি/এমএম