আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটেনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লিজ ট্রাস। এতদিন তিনি দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক রদবদল করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর এবারই প্রথমবারের মতো রদবদল করলেন তিনি।
এতদিন ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডমিনিক রাবকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও লর্ড চ্যান্সেলর করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন লিজ ট্রাস।
সম্প্রতি আফগানিস্তান সংকট মোকাবেলায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডমিনিক রাবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তালেবানের কাবুল দখলের পরে আফগানিস্তান থেকে ব্রিটেনের নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল তার। কিন্তু সেই সময়ে ছুটি কাটাচ্ছিলেন রাব। এরপরই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এর ফলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে লিজ ট্রাস ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে সাফল্যের সঙ্গে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত দায়িত্ব সামলেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ফলে দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণেই লিজ ট্রাসকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন জনসন।
এদিকে ডমিনিক রাবের মতো দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসকেও। করোনা মহামারি ও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যর্থতাই এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কমিউনিটি মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক এবং আইনমন্ত্রী রবিন বাকল্যান্ডকেও সরিয়ে দিয়েছেন বরিস।
এছাড়া কনরাজভেটিভ পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে আমান্দা মিলিংকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।