নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেফতার কালের কণ্ঠের আলোকচিত্রী আদর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে রংপুরের সাংবাদিক নেতারা। নয়ছয় তদন্তে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাক্ষীকে মামলার আসামি বানিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে আড়ালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন নেতারা।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলোকচিত্রী আদর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিক নেতা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, ঠিকাদারি কাজের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর আলোকচিত্রী ছিলেন গোলজার রহমান ওরফে আদর রহমান। ওই পদে থেকে কোনো নির্বাহী ও প্রশাসনিক কোনো ক্ষমতা একজন আলোকচিত্রীর থাকে না। অথচ তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দুদক একটি মামলায় সাক্ষী থেকে আসামি করে মূল হোতাদের নাম বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেছে। সেই মামলায় আদরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নেতারা আরও বলেন, আদরকে গ্রেফতারের ঘটনাটি বাংলাদেশে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাক্ষী থেকে আসামি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেই ঘটনার মূল হোতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সময় দ্রুত আদর রহমানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এদিকে আদর রহমানের গ্রেফতার ও মামলা প্রসঙ্গে রংপুর দুদকের জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতের বিশেষ পিপি এ কে এম হারুন অর রশিদ জানান, রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সরফুউদ্দিন আহমেদের আমলে গোলজার রহমান আদর ছিলেন সিটির জনসংযোগ সহকারী। ২০১৭ সালের ৭ ও ৮ আগস্ট ৪৭টি প্যাকেজের প্রকল্পের কাজের দরপত্র তিনটি জাতীয় পত্রিকায় ছাপার কথা বলা হলেও পরবর্তী সময়ে ওই সব পত্রিকায় এ বিজ্ঞাপন আর ছাপানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, রংপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর সময়কালে গোলজার রহমান ওরফে আদর রহমান আলোকচিত্রী ও জনসংযোগ সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন আকতার হোসেন আজাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় আদর রহমান ছিলেন সাক্ষী।
বিএসডি/আইপি