নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারে ডাকাতি হওয়া ৬৯ ভরি স্বর্ণসহ আট ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পিডবোট উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
গ্রেফতাররা হলেন- সাব্বির হোসেন ওরফে হাত কাটা স্বপন (৪৯), আরিফ হাওলাদার (২৫), মোহাম্মদ আলী (৪০), বিল্লাল মোল্লা (৩০), আনোয়ার হোসেন (৩২), ফারুক খাঁ (২১),আফজাল হোসেন (৪৭) এবং মো.আক্তার হোসেন (৩২)। এদের মধ্যে সাব্বির, বিল্লাল, আফজাল ও আক্তারের বাড়ি শরিয়তপুরে। আরিফ ও ফারুখ খাঁ মাদারীপুর এবং মোহাম্মদ আলী ও আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরের বাসিন্দা।
এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে ২০-২২ জনের একটি দল সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে। তারা বাজারের পাহারাদারদের হাত বেঁধে তিনটি দোকানে লুটপাট চালায়। সে সময় দুটি দোকান থেকে ১০৮ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ লাখ টাকা লুট করে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর দিন থেকে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত মাওয়া, শিবচর, জাজিরা, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার, তাঁতিবাজার ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট, ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ম্যাগজিন, পিস্তল, গুলি ও চাপাতিসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতার ও স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চলছে। ডাকাত চক্রটি বংশ পরম্পরায় ডাকাতি করে আসছে। ইতোমধ্যে একটি বড় লঞ্চে ডাকাতির কথাও তারা স্বীকার করেছে।
নিখিল বণিক স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী রিপন বণিক বলেন, চার দিন আগে আমাদের দোকান থেকে ১০০ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি হয়েছে। সবগুলো ক্রেতাদের ছিল। সেখান থেকে ৬৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে। আমি তাতেই ভীষণ খুশি। ক্রেতারা তাদের স্বর্ণের জন্য আমাদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
বিএসডি/আইপি