চার বিভাগের নতুন চারটি মেরিন একাডেমিসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৬টি প্রকল্পের অবকাঠামো উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন তিনি।
বিশ্ব নৌবাণিজ্য অর্থনীতিতে অবদান রাখা ও সমুদ্রগামী জাহাজে দেশের নাবিকদের চাকরির বিশাল সুযোগকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেটে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন চারটি মেরিন একাডেমি। যেখানে ক্রমান্বয়ে বছরে ৪০০ ক্যাডেটের পাশাপাশি সমুদ্রগামী মেরিনাররা বিভিন্ন ধাপে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে বিআইডব্লিউটিএর ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ; বিআইডব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নে কোনো অবদানই রাখেনি। নৌপথে অল্প খরচে পণ্য পরিবহন করা যায়। কিন্তু ৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা ব্যবসাকেই বড় করে দেখত। এ কারণে সড়কপথে তারা যে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে, নৌপথে তা নেয়নি ’
শেখ হাসিনা বলেন,‘আমরা সরকারে আসার পর নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছি। ২০২৪-২৫ সালে আরও ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। তবে আমি এটুকু বলব, শুধু খনন করলেই হবে না, প্রতিবছর রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌপথকে সংযুক্ত করা হচ্ছে, যেন নৌপথে মালামাল আনা-নেওয়া করা যায়।
এদিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ সেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসঙ্গে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখতে ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করে সরকার। নতুন ২০টি ড্রেজার যুক্ত হলে বিআইডব্লিউটিএর বহরের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৫টি। এগুলো ছাড়া আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।