করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে মৌখিক অনুমতি মিলেছে সরকারের পক্ষে থেকে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতের মধ্যে লিখিতভাবে তার বিদেশে নেওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে বলেও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করেই লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতার জন্য গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে দিকে সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে বলে দেওয়া হয়েছে। রাত নাগাদ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার অনুমতি লিখিতভাবে দেওয়া হবে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে নেওয়ার অনুমতি পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখন সরকারের কাছ থেকে কোনো মেসেজ পাইনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ম্যাডামের বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সবুজ সংকেত (ইতিবাচক সাড়া) পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আজকে রাতের মধ্যে সরকারের পক্ষে থেকে লিখিত অনুমতি পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (৬ মে) ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ ইতোমধ্যে লন্ডনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ।
এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, আজ খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এতে তার করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ যে আদেশ আছে বিদেশি যাওয়ার ক্ষেত্রে, সেটা আর বাধা রইলো না।
গত ৩ মে থেকে শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।