স্টাফ রিপোর্টার
ষষ্ঠ ধাপের স্থগিত হওয়া পৌরসভা ভোটের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পৌরসভাগুলোর মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ এই শুনানি ও নিষ্পত্তি করা হবে।
ইসি’র উপ-সচিব আফরোজা শিউলী (আইন) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ধাপের পৌর নির্বাচনের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ’-এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং ‘জেলা ও দায়রা জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
উপ-সচিব আফরোজা শিউলী জানান, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ষষ্ঠ ধাপের স্থগিত থাকা ৯টি পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদের নির্বাচনী সব বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তি করবে এই ট্রাইব্যুনাল।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৮ নং আইন) এর অধীন নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশন একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল এবং একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে।
উপ-সচিব আরও বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে। কোন মামলা দায়ের করা হলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে।
নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন। আপিল দায়ের হলে ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বিএসডি/এমএম