নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙামাটিতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
জানা গেছে, রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার থেকে পশ্চিমে অবস্থিত ইসলাম নামক এলাকায় একটি বাল্যবিবাহের সংবাদ সরকারের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ জানানো হলে তৎক্ষণাৎ কোতোয়ালি থানা পুলিশ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সেখানে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগী মেয়েটির মা ও দাদি দৈনিক অধিকারকে বলেন, অভাবের সংসারে মেয়েকে লেখাপড়াসহ যথাযথভাবে ভরণ-পোষণ করাতে পারছিলাম না। সে সূত্রে ছেলে-মেয়ের মধ্যে একটু সম্পর্কও ছিল। তাই আমরা বিয়ে দিয়ে দেব এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। কিন্তু মেয়ের বয়স যখন কম, তাই এখন আর বিয়ে দিচ্ছি না।
এ দিকে, পুলিশ জানিয়েছে- শহরের ইসলামপুর এলাকার ওই মেয়ের সাথে লংগদু উপজেলার বৈরাগি বাজার এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে মো. সুজনের (১৯) পূর্ব-আলোচনা সাপেক্ষে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়।
অন্যদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় বিয়ে নিয়ে কানাঘুষা শুনছিলাম। আবার বুধবার সকালে শুনতে পেলাম বাল্যবিবাহ নিয়ে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকরা এগুতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কে বা কারা জরুরি সেবা নম্বরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ও সাংবাদিক এসে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়। এও শুনেছি, ছেলে-মেয়ে উভয়ে একে-অপরকে ভালোবাসে। কিন্তু মেয়ের বয়স ১৫ হওয়াতে বিয়ে নিয়ে বিপদে পড়েছেন উভয়ে। তবে এ বাল্য বিয়ের সাথে প্রভাবশালী ও দলীয় লোকজন জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সার্বিক বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ সকালে আমার কাছে একটি ফোন আসে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে। পরে ৯৯৯ নম্বর থেকে আমি বিস্তারিত জেনে ঘটনাস্থলে এসআই জুলফিকার আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যাই এবং বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় যে কেউ ৯৯৯ এবং ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে জরুরি সেবা গ্রহণ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বিএসডি/আইপি