লাইফস্টাইল ডেস্ক:
খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা। তারপর নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া। খাবার তৈরি, খাবার খাওয়া, অফিসের জন্য তৈরি হওয়া, সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকা- এসব তো প্রতিদিনের চিত্র। এদিকে অফিসে দুপুরের খাবারটা খাওয়ার পর রাজ্যের ঘুম যেন চোখে নেমে আসে। তখন কফি কিংবা চা খেয়ে, হাঁটাহাঁটি করে, চোখে পানি দিয়ে কিংবা কখনো ডেস্কে মাথা গুঁজে অল্প একটু ঘুমিয়ে নিয়ে ঘুমটা তাড়াতে হয়।
যারা অফিস সামলান, তাদের ক্ষেত্রেই যে শুধু এই সারাক্ষণ ঘুম পাওয়ার সমস্যা হয় তা কিন্তু নয়। বরং বাড়িতে নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন যারা, তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা হতে পারে। ঘরে কিংবা বাইরে যেখানেই কাজ করুন, দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ঘুম পাওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এই ঘুম ঘুম লাগাটা চলতে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে।
ঘুমের সময় ঠিক না রাখা
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষেরই ঘুম পর্যাপ্ত হয় না। এটি সব সময় ঘুম পাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও আরেকটি কারণ হতে পারে সঠিক সময়ে না ঘুমানো। তাই ঘুমের রুটিন ঠিক রাখা অর্থাৎ সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা খুব জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোকে আরও গতিশীল করবে।
ভারী খাবার
ভারী খাবার খেলে খাওয়ার পর ঘুম ঘুম লাগতে পারে। খাবার হজম হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে, আবার সব খাবার হজম হতে একইরকম সময় নেয় না। এদিকে বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার, হাই প্রোটিন খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়। খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকলেও ঘুম পেতে পারে। পেট খালি রেখে খাওয়ার দরকার নেই। তবে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
অসুস্থতার কারণে
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই নানা ধরনের লাইফস্টাইল ডিজিজের শিকার। এসব রোগের কারণে ক্লান্তি দেখা দেয় এবং অতিরিক্ত ঘুম পেতে থাকে। মূলত এই অসুখগুলো শরীরকে ভেতর থেকে নড়বড়ে করে দেয়। ফলে ঘুমও আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
অবসাদও হতে পারে কারণ
নানা কারণেই দেখা দিতে পারে অবসাদ। হতে পারে তা টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা, কারও কাছ থেকে পাওয়া মানসিক আঘাত ইত্যাদি। শুধু শরীর খারাপ হলেই যে অতিরিক্ত ঘুম পায় তা নয়, মানসিক চাপও অতিরিক্ত ঘুম নিয়ে আসতে পারে। অনেকে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হিসেবে ঘুমকে বেছে নেন।
শরীরের ধরন
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী শরীরের তিন প্রকার দোষ হতে পারে- বাতা, পিত্ত এবং কফ। বাত মানে হলো যাদের শরীরে গ্যাসের পরিমাণ বেশি, পিত্ত মানে হলো যাদের শরীর খুব বেশি গরম থাকে এবং কফ মানে হলো যাদের শরীরে পানির পরিমাণ বেশি। এর মধ্যে যাদের শরীরে পানির পরিমাণ বেশি তাদের মধ্যে সব সময়ই ক্লান্তিবোধ লেগে থাকে।