আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অন্তত চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। রোববার পশ্চিম তীরে হামাসের ঘাঁটিতে অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তারা। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, অভিযানে ইসরায়েলি এক সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
গত মে মাসে ইসরায়েল এবং হামাসের ১১ দিনের যুদ্ধের পর রোববারের গোলাগুলিকে সবচেয়ে গুরুতর সহিংসতা হিসেবে বলা হচ্ছে। সর্বশেষ এই সহিংসতার কারণে পশ্চিম তীরের উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেনিন শহরের কাছে গোলাগুলি চলছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে থাকা হামাসের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
হতাহতের বিষয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য না করলেও স্থানীয় গণমাধ্যম কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো বলছে, জেনিন শহরের কাছে বুরকিন এলাকায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অন্য তিনজনের প্রাণ গেছে জেরুজালেমের কাছের বিড্ডু এলাকায়।
গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাস পশ্চিম তীরে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের উদ্বেগ রয়েছে। গত সপ্তাহে কারাগার থেকে পালানো ছয় ফিলিস্তিনির মধ্যে অন্তত দু’জনকে জেনিন থেকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েল। দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত একটি কারাগার থেকে ওই ছয় ফিলিস্তিনি পালিয়েছিলেন।
গত আগস্টেও পশ্চিম তীরে সন্দেহভাজন একজন ধরতে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানেও অন্তত চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। তারও কয়েক সপ্তাহ আগে জেনিনে এক গোপন অভিযান চালিয়ে দুই ফিলিস্তিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং সন্দেহভাজন এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল।
গত মে মাসে ইসরায়েল এবং গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের ১১ দিনের সংঘাতে কমপক্ষে ২৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। জাতিসংঘ বলছে, ওই সংঘাতে ১৩ ইসরায়েলিও নিহত হয়েছেন।