অনলাইন ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় সংক্রমিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। যদিও আগের দিনের তুলনায় বাড়ল প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। এছাড়া সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক দিনে দেশটিতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। যা গত ১৮ মাসের মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ দেশটিতে সুস্থতার হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অবশ্য দৈনিক শনাক্তের হার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ৫২৯ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার বেড়েছে। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
অপর দিকে বুধবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা পৌনে চারশ ছাড়ালেও বৃহস্পতিবার তা অনেকটা কমে এসেছে। শেষ এক দিনে ঘনবসতিপূর্ণ দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১১ জন। অর্থাৎ নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে ৬৭ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন চার লাখ ৪৮ হাজার ৬২ জন।
এ দিকে সংক্রমণ প্রায় পাঁচ হাজার বাড়লেও সর্বশেষ এক দিনে ভারতে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়া লোকজনের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে বৃহস্পতিবার দেশটিতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা প্রায় পৌনে তিন লাখে নেমে এসেছে।
গেল এক দিনে ভারতে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৮ হাজার ৭১৮ জন মানুষ। অন্য দিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দুই লাখ ৭৭ হাজার ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। যা ১৯৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ভারতের মোট সংক্রমিত করোনা রোগীর শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ (০.৮২%) বর্তমানে সক্রিয় আছেন। যদিও বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার এই হার হ্রাস পেয়েছে। এ দিকে ভারতে সুস্থতার হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যা ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সর্বোচ্চ।
অপর দিকে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের কিছুটা বেড়ে দেড় শতাংশে পৌঁছেছে। সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়, গত এক দিনে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এমনকি গত ৩১ দিন যাবত দেশটিতে এই হার তিন শতাংশের নিচেই রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।
বিএসডি/এমএম