নিজস্ব প্রতিবেদক:
র্তুগালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর সন্তান শাহ আলম কাজল। যেকোনো নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শাহ আলম কাজল মিউনিসিপ্যালিটি নির্বাচন ২০২১-এ বন্দরনগরী পোর্তো শহরের ফ্রেগজিয়া বনফিমের অ্যাসেম্বলি প্যানেলে কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষে নির্বাচনে জয়ী হন।
এর আগে ২০১৭ সালেও তিনি পোর্তো সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর হিসেবে পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার বিজয়ের মাধ্যমে পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের শক্ত অবস্থানের একটি ভিত্তি স্থাপিত হলো।
শাহ আলম কাজল নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পালপাড়া গ্রামে ১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোহাম্মদ আলী ও হালিমা বেগমের তৃতীয় সন্তান।
আমিশাপাড়া খলিলুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতকে অধ্যায়নরত অবস্থায় স্পেনে পাড়ি জমান তিনি। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে তিনি পর্তুগালে । ২০০৪ সালে তিনি পর্তুগিজ নাগরিকত্ব লাভ করেন।
পেশাগত জীবনে পর্তুগালে তিনি ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। একসময় তিনি পর্তুগালের প্রথম প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তো’র সভাপতির দায়িত্ব পান।
শাহ আলম কাজল বলেন, বাংলাদেশকে এ দেশের মাটিতে তুলে ধরার জন্য তিনি ২০১১ সালে বর্তমান ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। স্থানীয় রাজনীতিতে বিদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণ অনেক চ্যালেঞ্জিং হলেও তিনি দলের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন এবং সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি মহানগর কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
শাহ আলম কাজল আরও বলেন, লিসবনের মিউনিসিপ্যালিটি সিটি নির্বাচনে অ্যাসেম্বলির সদস্য পদে সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষে প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তাসলিম উদ্দিন প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তিনি বিজয়ী হতে পারেননি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে শাহ আলম কাজল বলেন, আমি আমার নতুন দায়িত্ব যথাযথ পালনের ওপর বেশি জোর দিয়েছি। আমি যদি তা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারি তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে আমি সংশ্লিষ্ট মিউনিসিপ্যালিটির ভেরিয়াদোর বা কার্যনির্বাহী কমিটিতে প্রার্থিতা উপস্থাপন করব।
বিএসডি/আইপি