সারাবাংলা ডেস্ক
খুলনার খালিশপুর নতুন রাস্তা বিআইডিসি সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে বেহাল অবস্থা। সড়কে চলাচলে পথচারীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ, ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
সাময়িক ভাবে সড়কটির বিভিন্ন বড় বড় গর্তগুলো ইটের টুকরো দিয়ে সংস্কার করলেও ভারি যানবাহন চলাচলের সময়ে আবারো গর্ত তৈরি হচ্ছে। যে কারণে সড়কে চলাচলে প্রায় সময়ে ইজিবাইক, অটোরিকশা ছোট যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, খুলনার মধ্যে একটি ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে এই নতুন রাস্তা থেকে বিআইডিসি সড়ক। তবে বর্তমান সময়ে বিশেষ করে এই বৃষ্টির কারণে সড়কটির মাঝ খানে কাটা থাকায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক জুড়ে রয়েছে পিচলা কাদা। রাস্তাটি আগে ভাল ছিল, তবে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ স্থাপন করার জন্য পুরো সড়ক আজ গর্তে পরিণত হয়েছে। রাতের বেলা যদি বিদ্যুৎ না থাকে সেই সময় দুর্ঘটনা আরও বেশি হয়।
ব্যবসায়ী মো. কালাম হোসেন বলেন, এই বিআইডিসি সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখানে বাজার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাটকলসহ এখানে তিনটি তেলের ডিপো রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ট্যাংক লড়ি ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে।
তাছাড়া অসংখ্য স্কুল কলেজসহ পাটক শ্রমিকদের যাতায়াত করে এই সড়কটি দিয়ে। যে কারণে সড়কটি সব সময়ে ব্যস্ত থাকে অথচ সড়কটি বর্তমান অবস্থা খুবই বেহাল অবস্থা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সামান্য একটু বর্ষা হলে কাদা পানিসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সড়কটিতে ধুলো বালি উড়তে থাকে। আমরা এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য মেয়রের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এলাকায় ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু বলেন, বিআইডিসি সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল দশা। তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বর্ষার পানিতে যা করব, সেসব নষ্ট হয়ে যাবে। তবে একটু বর্ষা কমলে সাময়িক সংস্কার করা হবে। সড়কটি নতুনভাবে স্থায়ী সংস্কার করার জন্য শুষ্ক মৌসুমে কাজ করা হবে বিষয়টি মেয়র খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, সড়কটি বেহাল ছিল তবে কিছুদিন আগে ইট দিয়ে রোলিং করেছি তারপর ও আমি বিষয়টি দেখছি দ্রুত সংস্কার করার জন্য বিষয়টি নিয়ে মেয়রের সাথে কথা বলে সাময়িক চলাচলের জন্য একটি ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে নতুন দরপত্র করে একটি মডেল সড়ক তৈরি করা হবে।
বিএসডি/এমএম