নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এতিমখানার জমি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর বিরোধের জেরে মৃত এক শিশুর মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কবরস্থানের গেটে তালা দেওয়ায় বিপাকে পড়েন শিশুর স্বজনরা। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে শিশুটির দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার চড়পাড়া কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কন্যা শিশুটির বাবা ভাঙ্গুড়া উপজেলার চড়পাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে চড়পাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী উপজেলার একটি ক্লিনিকে একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। তবে বিকেলেই শিশুটি মারা যায়। পরিবারের লোকজন শিশুটির দাফনের জন্য ভেড়ামারা ও চড়পাড়া গ্রামের কবরস্থানে কবর খোঁড়ার জন্য যান। এ সময় ভেড়ামারা-চড়পাড়া কবরস্থান কমিটির এক পক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তখনই এলাকার মুরুব্বিরা আলোচনায় বসেন।
তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে কবরস্থান কমিটির লোকজন কবর খোঁড়ার অনুমতি দেন। কবর খোঁড়া শেষে শিশুটির পরিবারের লোকজন শিশুটির নামাজে জানাজার জন্য বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় জানাজা শেষে শিশুটির মরদেহ দাফনের জন্য কবরস্থানে এনে দেখেন আবারও গেটে তালা ঝুলছে। এ অবস্থায় শিশুটির পরিবারের লোকজন ৯৯৯-এ ফোন করেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শিশুটির মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোরস্থান সংলগ্ন এতিমখানার ১৪ শতক জায়গা নিয়ে চড়পাড়াবাসীর সঙ্গ পাশের গ্রাম ভেড়ামারা গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরেই এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভেড়ামারা-চড়পাড়া গোরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ খাঁন বলেন, গোরস্থানের পাশে অবস্থিত এতিমখানার জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে গেটে তালা দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটা সমাধান করা হয়।
পারভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি সমাধান হওয়ার পর রোববার রাতেই শিশুটিকে দাফন করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ভুক্তভোগীরা কল দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়।
বিএসডি /আইপি