আন্তজার্তিক ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় শাহীনের তাণ্ডবে ওমান ও ইরানে নিহত বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও দেশ দু’টির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সড়কসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার ওমানের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় শাহীন। সোমবার ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পর দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওমান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ওমানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থার খবরে বলা হয়, রাজধানী মাস্কাটের উত্তরপশ্চিমে আল-খাবউরা শহরে ৩৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাস্কাটে ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি হয়েছে। দেশটির উপকূলজুড়ে ১০ মিটার উঁচু ঢেউ তৈরি হয়। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোতে স্থাপন করা ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ওমানের কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতে দেশটির ওই উপকূলীয় অঞ্চলের বিশাল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। সোমবার উত্তর আল-বাতিনাহ প্রদেশে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রোববার ঘূর্ণিঝড়ের সময় দেশটিতে চারজনের মৃত্যু হয়।
ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটিতে দুই জেলের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়াও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিসতান-বালুচিস্তানের উপকূলে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আরও তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
বিএসডি /আইপি