নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবারের নির্বাচনের আগে কোন ইশতেহার ঘোষণা করেননি নাজমুল হাসান পাপন। পরিচালক পদে জিতে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর নিজের মেয়াদের পরবর্তী চার বছরের পরিকল্পনার কিছু অংশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। যেখানে পাপন বলেছেন, তার পরবর্তী লক্ষ্য বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচে নিয়ে যাওয়া।
বর্তমানে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৭ এ থাকা বাংলাদেশকে আরও উপরে নিতে চান জানিয়ে পাপন বলছিলেন, ‘বর্তমানে তিন ফরম্যাটের মধ্যে শুধু ওয়ানডেতে আমরা মোটামুটি ভালো। খুব ভালো বলার মতো ভালো দল এখনও হইনি। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের উপরে আমরা আছি। পরের লক্ষ্য শীর্ষ পাঁচে যাওয়া। ওখানে গেলে সহজে আমাদের আর নিচে নামতে হবে না। তাই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্যই হলো কীভাবে পাঁচ নম্বর দল হওয়া যায়।’
পাপন এগিয়ে যেতে চান ধাপে ধাপে। এখনই তিনি সেরা তিন-চারে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন না টাইগার ক্রিকেট সমর্থকদের। এর কারণও ব্যাখ্যা করলেন সংবাদ সম্মেলন।
পাপন বলেন, ‘জিজ্ঞেস করতে পারেন- কেন চার না বা তিন না। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি- এখনকার অবস্থায় সাত থেকে পাঁচে ওঠা আমাদের জন্য হয়তো সম্ভব। একেক পর্যায় অনেক কঠিন। এর পরের পর্যায়ে যেতে যে পরিমাণ কাজ করতে হবে আমরা এখনও সেই পরিমাণ কাজ করিনি, সেই সুযোগ-সুবিধাও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’
সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘যতই উন্নতি করি না কেন। বিশ্বময় ক্রিকেট অনেক উন্নত হয়েছে। ওদের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হলে আরও অনেক কিছু করতে হবে। সাফল্য ধরে রাখার জন্যই আরও অনেক কিছু করা দরকার।’
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। টানা তিনটি সিরিজ জিতে বিশ্বকাপ গেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, নিউনিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে প্রথমবারের মতো। তবুও এই ফরম্যাটের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন পাপন।
পাপন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের অবস্থান কোনোভাবেই ভালো ছিল না। টেস্টেও উন্নতি করার অনেক সুযোগ রয়েছে এবং উন্নতি করতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে সমস্যা একটাই- এটা পাওয়ার গেম, আমাদের ব্যাটিংয়ে সেই পাওয়ার এখন পর্যন্ত রপ্ত করতে পেরেছি বলে মনে হয় না। মানে আমরা এত ভালো না। একেবারেই ভালো না তা বলছি না। ওরকম ভালো না। এটা ভালো করার জন্য দরকার।’
আরও বলেন পাপন, ‘বোলিং-ফিল্ডিংও গুরুত্বপূর্ণ। বোলিংয়ে আমাদের এখন বৈচিত্র্য এসেছে। টি-টোয়েন্টিতে একটা দিক ভালো করেছি। ফিল্ডিংও সাম্প্রতিক কিছু টেস্ট দেখে মনে হয়েছে আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। খুব ভালো বলছি না, তবে আগের চেয়ে তুলনামূলক ভালো মনে হয়েছে। তার মানে উন্নতি হচ্ছে। গত তিন সিরিজ জয়ের যে আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ নিয়ে যাচ্ছে, আমার বিশ্বাস এই আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।’