ফিলিস্তিনের নাগরিকেরা আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদ উদ্যাপন করছেন। এমন সময়ে এবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে, যখন ইসরায়েল নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনের এলাকাগুলোয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালেও সেখানে বোমা হামলা অব্যাহত ছিল। অনেক ফিলিস্তিনির আজ ঘুম ভেঙেছে বোমার শব্দে।
গতকাল বুধবার রাত থেকে লাগাতার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযানও চালাচ্ছে ইসরায়েলের বাহিনী। এ প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের নাগরিক সাফওয়াত আল-কাহলৌত বলেন, ‘গাজার অধিকাংশ মানুষই জেগে ছিল। আমরা একটু পরপরই বোমার শব্দ শুনেছি, ভবনগুলো কাঁপছিল।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ফিলিস্তিনের পুলিশের সদর দপ্তর ও নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে ১৬টি শিশু ও ৫ জন নারী। আর আহত হয়েছেন প্রায় ৪০০ জন।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের এক নেতাও নিহত হয়েছেন। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজা শহরের কমান্ডার বাসেম ইসা নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের হামলায়। এ ছাড়া হামাসের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন সদস্য এ হামলায় নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের ভবন ছাড়াও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কয়েকটি ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজা শহরের পার্শ্ববর্তী তেল আল-হাওয়া এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনও হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রায় দেড় হাজার রকেট ছুড়েছে। ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে এসব রকেট হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের এক শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।