নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘আগে রিকশা চালাইতাম, হোডেলে কাম করতাম, রাজেগোলগে থাকতাম। হেয়ার (এর) পরে অসুস্থ হইয়া কাজ কাম করতাম পারি না। স্যারেরা ভ্যান দিছে কাঁচা তৈরি তরকারি দিছে, আল্লায় যদি চায় এইডা দিয়াই সংসার চালামু।’
এভাবেই বলছিলেন ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ড চরসিফলি গ্রামের মোতাহার বেপারি। শুধু মোতাহার বেপারি নয়, একই রকম হাসি ফুটেছে ১০ জন কর্মহীন মানুষের মুখে।
সম্প্রতি ভোলার ইলিশা সড়কে কাঞ্চন-ফাতেমা ফাউন্ডেশন কার্যালয় থেকে কাঞ্চন-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক বাবু ভ্যানগাড়ি বিতরণ করেন।
এ সময় সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১০ জন বেকার মানুষের মাঝে একটি ভ্যানগাড়ি, ২০ কেজি আলু, ২০ কেজি মিষ্টি কুমড়া, ২০ কেজি কচুর ছড়া, ২০ কেজি পেঁপে, ১০ কেজি লাউ, ১০ কেজি মুলা, ১০ কেজি পেঁয়াজ, ঢেঁড়স ৫ কেজি, ৫ কেজি মরিচ, ও ৫ কেজি রসুন বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
রাজাপুর ইউনিয়ন মিজিবাজার এলাকার সুবিধাভোগী দুলাল বলেন, নদীতে জেলের কাজ করতাম। নদীর পাড়ে বাড়ি থাকায় মেঘনায় বাড়িতা লইয়া গেছে। করতাম ছুডা কাম, করোনা আইয়া হেইডাও লইয়া গেল। পরে স্যারেগো খোঁজ পাইয়া যোগাযোগ করলে হেরা ভ্যান ও তরকারি দিছে। আশা করি এইডি বেইচা সংসার চালাইতে পারমু।’
এদিকে কাঞ্চন-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক বাবু জানান, আমার চাচা কাঞ্চনমিয়া ও চাচি ফাতেমার নামে এই ফাউন্ডেশনের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভোলায় অসহায় সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফোটানো জন্য নানান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমরা কাঞ্চন-ফাতেমা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এর আগেও করোনাকালীন অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম। বর্তমানে যারা কর্মস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে এ রকম দরিদ্র ১০ পরিবারের জন্য ১০টি ভ্যান ও কাঁচামাল হিসেবে ১২৫ কেজি সবজি দিয়েছি। যাতে এগুলো বিক্রি করে তাদের সংসার চালাতে যাতে সুবিধা হয়।
বিএসডি /আইপি