নিজস্ব প্রতিবেদক:
রেলভবনে রোববার সকালে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
বাংলাদেশের রেলে বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্ক
এ সময় রেলমন্ত্রীও রেলের উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ খোঁজার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রেল খাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান এবং আগামীতে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
‘রেল খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি মহাপরিকল্পনা আছে। সেটি ধরে ধরে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের রেললাইন ছিল তিন হাজার কিলোমিটার। আর বর্তমানে ২৮০০ কিলোমিটার হয়েছে। আমাদের রেলপথ যমুনা নদী দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত।
‘পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। আমাদের বেশির ভাগই সিঙ্গেল লাইন। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
রেলের উন্নয়নে সরকারপ্রধানের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তখন থেকেই সরকার রেল খাতে বিনিয়োগ শুরু করে।’
রেলের চলমান প্রকল্পগুলোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণকাজ চলমান। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
‘আমরা নতুন নতুন লোকোমোটিভ ও প্যাসেঞ্জার কোচ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করছি। আমরা কারখানাসমূহকে আধুনিকায়ন করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ইলেকট্রিক ট্রাকশনের দিকে যাব।’
ওই সময় তুরস্কের দূত বলেন, ‘যেকোনো দেশের পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে রেলওয়ে। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে রেল খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।’
বিএসডি / আইকে