আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পারমাণবিক সাবমেরিনের গোপন তথ্য বিক্রির দায়ে মার্কিন নৌবাহিনীর একজন পরমাণু প্রকৌশলী ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের গোপন তথ্য বিক্রির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে বলে রোববার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
রোববার মার্কিন আদালত থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন নৌবাহিনীর অভিযুক্ত ওই পারমাণবিক প্রকৌশলীর নাম জোনাথন টোয়েবি এবং তার স্ত্রীর নাম ডায়ানা টোয়েবি। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে পরমাণু শক্তি আইন (অ্যাটমিক অ্যানার্জি অ্যাক্ট) ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে।
অভিযুক্তরা পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন বা যুদ্ধ জাহাজের নকশা এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। ক্রেতা ব্যক্তিটিকে বিদেশি কোনো পরাশক্তির প্রতিনিধি বলে মনে করেছিলেন পরমাণু প্রকৌশলী জোনাথন টোয়েবি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমাণবিক প্রকৌশলী জোনাথন টোয়েবির প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র রয়েছে। পারমাণবিক সাবমেরিনের গোপন তথ্য বিক্রির সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অসতর্কতার কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বেশ কিছু স্পর্শকাতর সামরিক গোপন নথিও তাদের হাতে তুলে দেন।
প্রায় এক বছর ধরে এই কাজটি করেন জোনাথন টোয়েবি। একপর্যায়ে গত শনিবার জোনাথন টোয়েবি ও তার স্ত্রী ডায়ানা টোয়েবিকে আটক করে এফবিআই।
এদিকে স্ত্রীসহ জোনাথন টোয়েবির গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক বি গারল্যান্ড। অভিযুক্তদের আটকের জন্য এফবিআই-সহ অন্যদের কাজের প্রশংসাও করেন তিনি।
আলজাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনীর নিউক্লিয়ার প্রোপালসন প্রোগ্রাম শাখার কর্মী ছিলেন জোনাথন টোয়েবি। মার্কিন নৌবাহিনীর এই শাখাটি নেভাল রিঅ্যাক্টর নামেও পরিচিত। এই শাখায় কাজ করার কারণে সামরিক ও পরমাণু সংক্রান্ত গোপন ও স্পর্শকাতর নথিতে জোনাথন টোয়েবির প্রবেশাধিকার ছিল।