জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে নেই বললেই চলে। আবার বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়েও সংকট রয়েছে, রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি। এমন বাস্তবতায় জাতীয় পার্টি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনীতির মাঠে আছে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, নির্বাচনে দেশের মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়েছে। সরকার–সমর্থিত প্রার্থীদের চাপে বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে টিকতেই পারছেন না। টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবে দিশেহারা হয়ে নির্বাচনের মাঠ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেক প্রার্থী।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে নেই বললেই চলে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নানা গলদ আছে আওয়ামী লীগে। আবার বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে কোনো কথাই বলতে পারছেন না। বিএনপিতে নেতৃত্ব নিয়েও সংকট রয়েছে, রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি। কিন্তু এমন বাস্তবতায় জাতীয় পার্টি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনীতির মাঠে আছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। বিএনপি এক যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে রাজনীতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৩১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে লড়াই করছে। কারণ, জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের আস্থা আর ভালোবাসা নিয়ে রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বলছে, জাতীয় পার্টির শাসনামলেই দেশের মানুষ ভালো ছিল। জাতীয় পার্টির আমলে দেশের মানুষের জানমাল ও অধিকারের নিশ্চয়তা ছিল। জাতীয় পার্টির আমলেই দেশে আইনের শাসন ছিল। তাই দেশের মানুষ আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।
প্রার্থীদের জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে। যারা মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনের মাঠে লড়াই করতে পারবেন না, তাদের স্থান জাতীয় পার্টিতে হবে না। ভোট হচ্ছে অধিকার, তাই ভোটাধিকার নিশ্চিতে লড়াই করতে হবে। দেশের মানুষ তাঁদেরই পছন্দ করে, যাঁরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারেন। যাঁরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, তাঁরা দেশের মানুষের কাছে ঘৃণিত মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব আমির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, দফতর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মণ্ডল মানিক, সাটুরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. নবীনূর বক্স গোলাম, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার।
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. নাজিম উদ্দিন, মো. হাফিজ উদ্দিন বাবুল, এস এম আবুল হোসেন, মো. লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন পাশা, এ বি এম আলিমুর রহমান সবুজ, বিপ্লব হোসেন মাস্টার, আলতাফ হোসেন প্রমুখ।