নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ পেল রাজশাহীর ৩৫টি বিদ্যালয়। বুধবার (১৩ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ১ হাজার ৪০০ কপি বই তুলে দিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। মুজিব শতবর্ষ উদযাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই উদ্যোগে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
রাজশাহীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক অধ্যাপক অলক মৈত্রের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রাণিত করার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধুকে জানা এবং বই পড়ার অভ্যাস দুটোই শিক্ষার্থীদের আত্মিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে ‘মুজিব’ প্রকাশ করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। আট খণ্ডে প্রকাশিত গ্রাফিক নভেলের পরবর্তী খণ্ডগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর আবারও তা বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
সংলাপ, গদ্য ও চিত্রের জুৎসই সমন্বয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিত্রিত হয়েছে গ্রাফিক নভেল মুজিব-এ। রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই বইয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে জানার সুযোগ পাবে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ পর্যায়ে রাজশাহীর ৩৫টি বিদ্যালয়ের প্রতিটিকে ৫ সেট করে মোট ৪০টি বই দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ৪০ জন শিক্ষার্থী স্কুলের লাইব্রেরি থেকে বইটি পড়ার সুযোগ পাবে। এ বছর দেশজুড়ে ৫০০টি বিদ্যালয়ে ২০ হাজার কপি ‘মুজিব’ নভেল বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া বই কিনতে উৎসাহিত করতে আট বছর ধরে বইমেলা উপলক্ষে বই কেনায় ক্যাশব্যাকও দিয়ে আসছে বিকাশ। পাশাপাশি বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলায় বিকাশ চার বছর ধরে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলা একাডেমির সাথে কাজ করে আসছে।
বিএসডি /আইপি