আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এখন থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন কুয়েতের নারীরা। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হামাদ জাবের আল আলি আল সাবাহ এক বিবৃতিতে মন্ত্রিপরিষদের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের বার্তাসংস্থা এএনআই।
দেশটির মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে সেনাবাহিনীর মেডিকেল ও মিলিটারি সাপোর্ট- এই দুই বিভাগে আবেদন করতে পারবেন কুয়েতি নারীরা। পরে ধীরে ধীরে সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য শাখাও তাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে শেখ হামাদ বলেন, ‘কুয়েতি নারীরা ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। আমরা আশা করছি, সামরিক বাহিনীতেও তারা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করবেন।’
কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের নারীরা সেনাবাহিনীতে উজ্জল ভূমিকা রাখতে পারবেন, এ বিষয়ে তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েতে গত দেড় দশকে নারী অধিকার পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২০০৫ সালে একটি আইন পাস করে কুয়েতের পার্লামেন্ট। তাতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনে কুয়েতের নারীরা ভোট দিতে পারবেন এবং প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন।
তার চার বছর পর ৫০ আসন বিশিষ্ট কুয়েতের পার্লামেন্টের ৪ আসনে নারী প্রার্থীরা জয়ী হন।
২০০৮ সালে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। এছাড়া, বিচারবিভাগেও নারীদের উপস্থিতি বাড়ছে। বর্তমানে কুয়েতে নারী বিচারকের সংখ্যা ১৫ জন।