আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরাক ও সিরিয়া থেকে সামরিকভাবে দক্ষ সন্ত্রাসীরা ‘সক্রিয়ভাবে’ আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার (১৩ অক্টোবর) সাবেক সোভিয়েত-ভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খুব একটা সহজ নয়। ইরাক ও সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা সক্রিয়ভাবে দেশটিতে প্রবেশ করছে। এসব সন্ত্রাসীদের যুদ্ধ ও সামরিক অভিযান পরিচালনায় অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
তালেবানের শাসনাধীনে এসব সন্ত্রাসী আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়ে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন বলেও সতর্ক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার ভাষায়, প্রতিবেশী দেশগুলোতে এসব সন্ত্রাসীরা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। এমনকি তারা ‘সরাসরি হামলা’ চালাতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ভ্লাদিমির পুতিন অবশ্য বার বরাই বলে আসছেন যে, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে চরমপন্থি গ্রুপগুলোর সদস্যরা পার্শ্ববর্তী সাবেক সোভিয়েত-ভুক্ত দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করতে চাইছে।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে প্রায় পুরো আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়।
তবে কাবুলের নতুন তালেবান সরকার নিয়ে রাশিয়া প্রথম থেকেই আশাবাদী। অবশ্য আফগান ভূখণ্ডে যেকোনো ধরনের সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ক্রেমলিন। কারণ মধ্য এশিয়ার অনেক দেশেই রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
এদিকে আফগান সংকট নিরসনে বৈশ্বিক একটি আলোচনায় কাবুলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। আগামী ২০ অক্টোবর মস্কোতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন কাবুলে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত জামির কাবুলফ।
গত সপ্তাহে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আফগানিস্তান ইস্যুতে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় অনুষ্ঠিতব্য এই আলোচনায় চীন, ইরান, পাকিস্তান ও ভারতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। সঙ্গে অংশ নেবে তালেবান সরকারের প্রতিনিধিও।