বাংলাদেশ টিম হোটেল অনেকটা নিস্তব্ধ। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ একই হোটেলে ছিল। গতকাল একই দিন মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ায় এই হোটেল এখন প্রাণহীন। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মালদ্বীপ দল হোটেল ছেড়েছে। বাংলাদেশ দল দেশে ফিরবে ১৭ অক্টোবর।
গতকাল রাত থেকে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা বিশ্লেষণ করছেন পেনাল্টি নিয়ে। খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরাও নানাভাবে ফুটেজ দেখছেন। ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু রেফারিকে ভিন্নভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন, ‘প্রথমত এটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। ফুটবলের আইনে ফাউলের মধ্যে পড়ে না সেটি। আমরা দেখেছি বল হেড করার জন্য লাফিয়েছিলেন সাদ। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে কার্ড দিয়েছেন বিশ্বনাথকে।’
বিশ্বনাথকে কার্ড দেওয়ার বিষয়টি রেফারির সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করেন রুপু, ‘রেফারি কিছুটা দূরে ছিলেন। তিনি বিষয়টি ভালোভাবে দেখেননি এর প্রমাণ বিশ্বনাথকে কার্ড দেওয়া।’
বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে এজন্য ফিরতি টিকেট ১৭ অক্টোবর। আগামীকাল ও পরশু খেলোয়াড়দের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাফুফে, ‘আমরা মালদ্বীবিয়ান এয়ারলাইনসে এসেছি। সেই এয়ারলাইনসে ১৭ তারিখের আগের ফ্লাইট ১৫। ওই দিন সিট খালি নেই। অন্য এয়ারলাইন্সে ১৮ তারিখের আগে সিট নেই। ফলে ১৭ তারিখ সকালেই আমরা দেশে ফিরব।’
গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দ্রুত দেশে ফিরে যেতে চান, ‘এখানে আর এখন ভালো লাগছে না। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে সবার মন খারাপ।’ দ্রুত মালদ্বীপ ছাড়তে চান বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনও। তিনি হোটেলে টিকিট নিয়ে এয়ারলাইনস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন বিশেষভাবে।