সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্যায় করে কেউ পার পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
নানক বলেন, পবিত্র কোরআন শরীফ একটি মূর্তির নিচে রাখার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পবিত্র কোরআন রেখে কুমিল্লাসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় হামলা ও মূর্তি ভাংচুর করা হলো। দেশে অচল পরিস্থিতি তৈরি করতে এটি উগ্র, ধর্মীয় উগ্রবাদী, মৌলবাদীদের সুগভীর ষড়যন্ত্র। আমার বিশ্বাস, দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষেরা এমন ঘটনাটির নিন্দা, ঘৃণা জানান এবং প্রতিবাদ করেন। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। অন্যায় করে কেউ পার পাবে না।
অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যেসব জেলা ও উপজেলার নেতারা বিতর্কিত প্রার্থীদের পরিচয় গোপন করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে লিস্ট পাঠিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত অভিযুক্ত দুই আসামির মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই শঙ্কার বিষয়। তবে সুস্পষ্ট কথা হলো- আমাদের দলীয় মনোনয়নের ব্যাপার কয়েকটি স্তর পার করে চূড়ান্তভাবে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে যায়। এদের যারা চিহ্নিত করেনি অথবা সংগঠনের মধ্যে যে বা যারা এদের পরিচয় গোপন রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
নানক বলেন, গণমাধ্যমগুলোতে আসা বিভিন্ন সংবাদ এটাই প্রমাণ করে, সুবিধা নিতে পরিচয় গোপন করে স্বার্থবাদীরা দলে ঢুকে পড়েছে। শুধু ঢুকে পড়েনি, এরা বিভিন্ন নেতাদের কাঁধে সহায় হয়েছে। তারা যে নেতার কাঁধে সহায় হয়েছে, সে নেতাকে দল থেকে ঘাড় ধরে বের করা উচিত। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন অপকর্ম না করতে পারে তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। দেশে বেশ কিছুদিন বিএনপি-জামায়াত তর্জন-গর্জন দিচ্ছিল। ঢাকা দখল করতে আন্দোলন-হুমকির কথা বলেছিল। কিন্তু তারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বাঙালির একটি ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ব্যবহার করতে চেয়েছে।
বিএসডি /আইপি