আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৪তম। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সূচকে ৪র্থ স্থানে রয়েছে দেশটি।
বিশ্বের ১৩৯টি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জরিপকারী আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রোজেক্টের (ডব্লিউজেপি) ২০২১ সালের সূচকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ডব্লিউজেপির সূচকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষে অবস্থান করছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভীয় অঞ্চলের তিন দেশ— নরওয়ে, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড। অপরদিকে, সর্বনিম্নে অবস্থানকারী তিন দেশ হলো গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, কম্বোডিয়া এবং ভেনেজুয়েলা।
দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের শীর্ষে অবস্থান করছে নেপাল। দশমিক ৫২ পয়েন্ট অর্জনকারী এই দেশটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সূচকে বৈশ্বিকভাবে রয়েছে ৭০তম অবস্থানে।
এছাড়া ৭৯তম অবস্থানে ভারত ও ৭৬তম অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান রয়েছে সূচকের একদম শেষদিকে। এই দেশ দু’টির অবস্থান যথাক্রমে ১৩০তম ও ১৩৪তম।
ডব্লিউজেপির সূচকে যে দেশের প্রাপ্ত স্কোর ১; বলা হয় সেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো। ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্ত স্কোর শূন্য দশমিক ৪০। অবশ্য আগের বছরের স্কোরের চেয়ে দশমিক ১ পয়েন্ট এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর স্কোর ছিল শূন্য দশমিক ৪১।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ডব্লিউজেপির সূচকে বলা হয়েছে, আইনের শাসন সংক্রান্ত প্রধান বিষয়— ‘অর্ডার অ্যান্ড সিকিউরিটি’ বিভাগে এযাবৎকালে সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে দেশটি। এ সম্পর্কে সংস্থাটির বক্তব্য— বাংলাদেশ কার্যকরভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে; দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাত বেশ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ এখন নিজেদের সম্পত্তি রক্ষার্থে ব্যক্তিগতভাবে সহিংসতায় জড়ায় না। এসব ক্ষেত্রে ১ এর মধ্যে দশমিক ৬৩ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ; আর দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের মধ্যে অর্জন করেছে দ্বিতীয় স্থান।
অন্যদিকে, ‘মুক্ত সরকার’ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ, অর্থাৎ আইনগত ও সরকারি তথ্য প্রকাশ, তথ্য অধিকার, জনগণের অংশগ্রহণ প্রভৃতিতে বাংলাদেশের প্রাপ্ত স্কোর শূন্য দশমিক ৪২। দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। এই দুই পয়েন্টের গড় হিসেবে ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
বিএসডি/এসএফ