আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং আমন্ত্রণ না পাওয়ার পেছনে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’কে দায়ী করছেন দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র। চলতি মাসের শেষ দিকে আঞ্চলিক নেতাদের এই বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি না রাখার এই সিদ্ধান্তকে ‘বিরল’, তবে ‘প্রয়োজনীয়’ বলছেন অনেকেই।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ্য মিন তুন বিবিসি বার্মিজকে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ১০ সদস্য দেশের সংস্থা আসিয়ানের নেতাদের এই মাসের শেষের দিকের সম্মেলন থেকে সামরিক নেতাকে বাদ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে বিদেশি হস্তক্ষেপ দেখা যায়। আমরা জানতে পেরেছিলাম, কয়েকটি দেশের কিছু দূত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং ইইউ থেকে চাপ পেয়েছে।’
এর আগে, আসিয়ানের সম্মেলনে মিয়ানমার থেকে অরাজনৈতিক প্রতিনিধি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় এই জোটের বর্তমান সভাপতি ব্রুনেই। গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা আসা জান্তা সরকারের ওপর চাপ তৈরির লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসিয়ান।
ঐতিহাসিকভাবে হস্তক্ষেপ নীতির বিরোধী আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শুক্রবার রাতের জরুরি বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধানকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা প্রধানকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোর পদক্ষেপটি ‘কঠিন’ হলেও প্রয়োজনীয়। আসিয়ানের বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতায় আসা জান্তা সরকারের দমন-পীড়নে মিয়ানমারে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগিরকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সূত্র: রয়টার্স।