নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালন সাঁইয়ের ১৩১তম তিরোধান দিবসে প্রথমবারের মতো সাতজন লালন গবেষক ও সাধককে সম্মাননা স্মারক দিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। লালন গবেষণা ও সাধনায় বিশেষ অবদানের জন্য তাদেরকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) শিল্পকলা একাডেমির বাউলকুঞ্জে লালন সাঁইয়ের ‘১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে লালন সাঁইয়ের জীবনদর্শন নিয়ে আলোচনা করেন ফকির হীরণশাহ্ ও দেবোরাহ জান্নাত।
ফকির লালন সাঁইয়ের অবদান মূল্যায়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে ও তার সঙ্গীত ভান্ডারকে আরও জনপ্রিয় ও লোকগ্রাহ্য করে তার আলোকে জীবন ও সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ সাধুমেলার আয়োজন করা হয়। ২০১৯ সাল থেকে প্রতি মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘সাধুমেলা’ এর আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি।
মানবতার মহান সাধক ফকির লালন সাঁই ১৭৭৪ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার অন্তর্গত চাপাড়া, ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ সাধক, দার্শনিক ও মানবতাবাদী কবি। তার মর্মস্পর্শী পদাবলি বাংলার সহজ সরলমনা সঙ্গীতপ্রেমীদের আত্মার খোরাক। দেশে ও দেশের বাইরে মুক্তিকামী অসংখ্য মানুষ লালন ফকিরের ভাব বাণীকে নিজ জীবনের ভাবাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছেন।
সূত্র : বাসস
বিএসডি/আইপি