নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রায় সাত বছর আগে বিয়ে হয় লাকি আক্তারের। বিয়ের পর তিন বছরে স্বামী ইউসুফকে চারবারে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দেন। এরপরও পেট ভরেনি স্বামীর। আরো দুই লাখ টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা চালান ইউসুফ।
ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের। শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাজিবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী লাকি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
লাকির বাড়ি রাজিবপুর এলাকায়। তিনি দিনমজুর মনু মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত ইউছুফ একই এলাকার সরদার বাড়ির নুরুল্যাহর ছেলে। তাদের ঘরে ছয় বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।
ভুক্তভোগী লাকির ভাই মো. ফারুক জানান, ২০১৪ সালে ইউসুফের সঙ্গে লাকির বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর না যেতেই যৌতুকের জন্য তার বোনকে নির্যাতন শুরু করেন ইউসুফ। দিন দিন এ বাড়তে থাকে নির্যাতন। এরপর ২০১৯ সালে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। টাকা পেয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না বোনজামাই। এরপরও বোন লাকির ওপর নির্যাতন চলতো। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। যৌতুক হিসেবে গত বছর ইউসুফকে প্রায় তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। চলতি বছরের রমজানে দুই লাখ টাকা না পেয়ে ফের লাকিকে মারধর করেন। এ ঘটনায় স্বামী ইউসুফের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী লাকি। তবে মামলার পর সামাজিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
ফারুক আরো জানান, গতকাল রোববার রাতে পাকাঘর নির্মাণের জন্য তার বোন লাকির কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন ইউছুফ। টাকা দিতে না পারায় শুরু করেন নির্যাতন। একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা চালান।
বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুরাদ বলেন, ইউসুফ বখাটে। তার একাধিক বিচার হয়েছে। সর্বশেষ দুই লাখ টাকা দাবি করার পর ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন ভুক্তভোগী লাকির বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লাকিকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন শুরু করেন ইউসুফ।
বিএসডি / আইপি