নিজস্ব প্রতিনিধি:
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। আগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা নিতে স্কুলগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এখন ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার সঙ্গে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক নির্বাচনী বা প্রি-টেস্ট পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে।
এ নির্দেশ দিয়ে সংশোধিত আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। রোববার (১৭ অক্টোবর) আদেশটি প্রকাশ করা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা নিতে স্কুলগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে আদেশের স্মারকেই প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সংশোধিত আদেশটি জারি করা হয়েছে।
সংশোধিত আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা এবং ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়ের পরীক্ষা নিতে হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বর। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টা।
আদেশে আরও বলেছে, যেসব অধ্যায় থেকে বাংলা, গণিত ও সাধারণ গণিত বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে সেসব অধ্যায় এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যেসব অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করানো হয়েছে তা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সিলেবাস হবে।
বাংলা ১ম ও ২য় পত্র বিষয়ের নম্বর হবে ৫০। এর মধ্যে লিখিত অংশে ৩৫ ও এমসিকিউ অংশে ১৫ নম্বর। ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র থেকে ৫০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় প্রথম পত্র থেকে ৩০ নম্বরে ও ২য় পত্র থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। সাধারণ গণিত পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে। এর ৩৫ নম্বর থাকবে লিখিত অংশে ও এমসিকিউ অংশে থাকবে ১৫ নম্বর।
শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সব বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে অধিদফতর। পরীক্ষায় ৭ম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। আর ৬ষ্ঠ শ্রেণির থেকে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এ ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। মোট ১০০ নম্বরের ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নের পর বার্ষিক পরীক্ষা ফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট দিতে হবে।
২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া আর কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছে অধিদফতর। স্কুলগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে।
বিএসডি / আইকে