নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রিয় রসুল (দ.) এর আগমনেই পূর্ণতা পায় দ্বীন ইসলামের। অন্ধকার যুগ তথা আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগকে আল্লাহর প্রিয় হাবীব (দ.) স্বর্ণযুগে পরিণত করেছিলেন। শিরকের গভীরে হারিয়ে যাওয়া মানুষের তাওহীদের সামিয়ানার নিচে এনেছিলেন প্রিয় রসুল (দ.)।
সমাজের প্রতিটি স্তরে এমনভাবে পরিবর্তন করেছিলেন মজলুম ফিরে পেয়েছিল অধিকার, হতাশায় আচ্ছন্ন মানুষ পেয়েছিল বেঁচে থাকার মতো আশার আলো, দুনিয়ার যত বিভেদ ও বৈষম্য সব দূর করেছিলেন আপন মহিমায় মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহে। পৃথিবী বদলে দেওয়ার এই মিশন ও ভিশন কোনো কালেই সহজ ছিল না। সীমাহীন ত্যাগ ও কুরবানির বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মহান আল্লাহর দ্বীনকে।
প্রিয় রসুল (দ.) জাহেরীভাবে পৃথিবী থেকে পর্দা করার পর নবুয়্যতির পরিসমাপ্তি হয়। অতঃপর এ কাজকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব এসে পড়ে নবীর ওয়ারিশদের কাছে। যারা বেলায়ত, কুতুবিয়ত ও গাউছিয়তের অধিকারী। কালের পরিক্রমায় আমরাও পেয়েছি কালশ্রেষ্ঠ একজন রাহবারকে যিনি মানুষের হৃদয়ে হৃদয়ে ইশকে মোস্তফাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সারাজীবন আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছেন এবং দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
প্রিয় রসুল (দ.) যে আদর্শে ও নীতিতে অন্ধকার যুগকে ইনসাফের আলোয় আলোকিত করেছেন সেই নিয়ামতের স্রোতধারায় খলিফায়ে রসুল (দ.) হজরত গাউছুল আজমও (রা.) কাজ করে গেছেন। মানব দেহের অভ্যন্তরীণ লতিফাসমূহে প্রিয় রসুলের নূরে বাতেন দিয়ে সমস্ত দোষত্রুটি দূরীভূত করে সাধারণ মানুষকে আশেকে রসুলে পরিণত করছেন। শরীয়তের সম্পূর্ণ হুকুম আহকাম পালনের পর সুন্নতে মোস্তফার আলোকে জীবন সাজানোর মাধ্যমে নূরে মোস্তফার রওশনে ঈদে মিলাদুন্নবীর (দ.) বাস্তবায়নের রূপরেখা রয়েছে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজমের তরিকতে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মো. জসিম, মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর, হাফেজ মাওলানা আরিফ, মাওলানা মো. এরশাদ হোসাইন, মাওলানা ইউছুফ মুনিরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
বিএসডি /আইপি