ক্রীড়া ডেস্ক:
ওমানে তপ্ত দুপুরে একটিই ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। গরমে স্রেফ হাঁসফাঁস করেছিলেন সাকিব, মুশফিকরা। ২২ গজে টিকে থাকা কতটা কষ্টকর ছিল তা বোঝা যায় বাংলাদেশের ইনিংসের ১০ ওভার শেষে।
ড্রেসিংরুম থেকে চেয়ার, ছাতা ডেকে আনান সাকিব। কয়েক মিনিটের ছায়া পেয়ে যেন স্বস্তির ঢেকুর তোলেন তিনি। সাজঘরে ফিরে সোজা পানির নিচে। আইসবাথ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। নয়তো ওখানে গা ডুবাতেন। ওমান পর্ব ঠিকঠাক মতো পার করলেও বাংলাদেশের সামনে সুপার টুয়েলভে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, আমিরাতে দিনের আলোয় খেলা হওয়াতে বাংলাদেশের স্পিনাররা ভালো সুবিধা পাবেন। বলে বেশি টার্ণ করাতে পারবেন। রাতের খেলায় শিশির ম্যাচে বড় প্রভাব রাখতে পারে। দিনে সেই সুযোগটি নেই। পেসার, স্পিনার দুই বিভাগের বোলাররা সহজেই বল গ্রিপ করতে পারবেন। রাতে খেলা হলে টস বড় ভূমিকা রাখত। দিনের খেলায় সেই সুযোগটি নেই। আবার ব্যবহৃত উইকেটে খেলার সম্ভাবনা থাকত। দিনের খেলার সেই সুযোগটি নেই। সতেজ উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ।
সুপার টুয়েলভে অংশ নিতে শুক্রবার বিকেলে ওমান থেকে দুবাই পৌঁছেছে বাংলাদেশ। টিম হোটেলে চেক-ইনের পর হাবিবুল বাশার বলেন, ‘দুপুরে খেলা হওয়ায় আমাদের সুবিধা হবে। বিশেষ করে স্পিনারদের সুবিধা হবে। বলে স্পিন করবে বেশি। আরো কিছু সুযোগ সুবিধাও আছে। যেগুলো সব হয়তো খালি চোখে বোঝা যাবে না। এসব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে দুপুরে খেলা হওয়াতে ভালো হয়েছে।’
বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিল। পরের দুইটিতে দাপটের সঙ্গে জিতে সুপার টুয়েলভে উঠে। হাবিবুল বাশার বিশ্বাস করেন, শেষ দুটি জয়ের আত্মবিশ্বাস মূল পর্বে কাজে আসবে,’প্রথম রাউন্ডে প্রথম ম্যাচটা আমাদের পরিকল্পনা মতো হয়নি। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে খুবই চিন্তিত ছিলাম, কারণ আমরা কেউই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার মেনে উঠতে পারিনি। মানতে সবার কষ্ট হইছে। বাড়তি চাপতো ছিলই। তৃতীয় ম্যাচটা আমরা আমাদের সামর্থ্য দেখাতে পেরেছি। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমি মনে করি এটা সুপার টুয়েল্ভে কাজে দেবে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নিয়মিত আলো ছড়ালেও টি-টোয়েন্টিতে ভালো সময় এসেছে কালেভদ্রে। তবে এবারের হিসাবটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডকে দেশের মাটিতে উড়িয়ে র্যাংকিংয়ে নিজেদের ইতিহাসের সেরা অবস্থানে থেকে (ষষ্ঠ) বিশ্বকাপে পা রাখে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোনো গেছে, এবার সুপার টুয়েলভের মহারণ। এতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?
বিএসডি/এসএসএ