নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ওয়াজের নামে মানুষকে ভুল শিক্ষা দিয়ে ধর্মান্ধ বানানোর যে চেষ্টা করা হচ্ছে , সেটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। যারা ইসলামি বক্তা তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনারা ধর্মের ভালো দিকগুলো ওয়াজ মাহফিলে তুলে ধরেন। কিন্তু ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দিয়ে আমাদের ধর্মকে মানুষের কাছে বিতর্কিত করবেন না।’
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ী এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিমের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশে তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। আসুন সমাজের মাঝে পরিবর্তন আনি। আমরা ধর্ম পরায়ণ হতে চাই। ধর্মান্ধ হতে চাই না। ধর্মান্ধতা মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে, সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ধর্মপরায়ণ হওয়ার পাশাপাশি বাঙালির যে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, সেটা জাগরণ করি।’
হানিফ আরও বলেন, ‘সনাতন ধর্মের পূজামণ্ডপে দেবতার ওপর কোরআন শরিফ রেখে এই যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়িয়ে দেশের মধ্যে হানাহানি করা হলো, যে ব্যক্তিটি করল সে ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে। তিনিও একজন মুসলমান। একজন মুসলমান আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যে অন্য ধর্মের মন্দিরে রেখে এটি কী কোরআনকে সম্মানিত করল নাকি অসম্মানিত করল? মুসলমান হয়ে মুসলমানের পবিত্র ধর্মকে অসম্মানিত করেছে। আর আমরাও হুজুগে বাঙালি, ধর্মান্ধ- আমরা সেদিকে না দেখে অন্য সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি-মন্দির ভাঙচুর করলাম। আমরা দেখিয়ে দিলাম যে, কোরআনের প্রতি আমাদের কত সম্মান। এতে সম্মান বেড়েছে?
তারেক সোলেমান সেলিম স্মরণসভা পরিষদ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। শোক সভায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি /আইপি