নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সকল প্রবেশপথ ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে কেবল একটি প্রবেশপথ রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানে একাধিক প্রবেশপথ তৈরি করা, প্রবেশপথে সকল শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করার কথা বলা হলেও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা মানছে, বাকিগুলোর গরজ নেই।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের সকল ভবনের কক্ষ, ওয়াশরুম, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙ্গিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শিক্ষার্থীদের সুস্থতা নিশ্চিতকরণে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান ও সাবান দিয়ে হাত ধৌতকরণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, তারা এসব নিয়ম মানছেন না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক আইসোলেশন ও উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সামনে কোনও ভ্রাম্যমাণ দোকান না বসানোর নির্দেশ থাকলেও ডা.খাস্তগীর ও চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেল গেইটে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে খাবার বা অন্য কোনও সামগ্রী ক্রয় থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও ওইসব দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের খাবার কিনতে এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবার খেতে দেখা গেছে। মাস্ক পরিধান করা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনেকের মাঝে অনীহা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমলেও তা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে চট্টগ্রামে সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন উদাসীনতায় সচেতন অভিভাবকরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মানছে কিনা, তা তদারকি করা দরকার।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অতি শিগগির আমরা এ ব্যাপারে কঠোর হবো।
বিএসডি /আইপি