সাভার প্রতিনিধি:
সাভারে “সিরাক বাংলাদেশ” এর উদ্যোগে পালিত হচ্ছে কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে পালিত হচ্ছে এ সেবা সপ্তাহ। আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাঠ প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার এম এ লতিফ এবং কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পিয়ার লিডার শাহাদাত হোসেন ও সেচ্ছাসেবীরা।
তখন সেচ্ছাসেবীরা কৌশোর-বান্ধব সেবাকেন্দ্রটি ব্যানার এবং ফেস্টুন দিয়ে সাজানোর মাধ্যমে উক্ত সেবা সপ্তাহ শুরু করেন। পরবর্তীতে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এ র্যালিতে স্থানীয় কিশোর-কিশোরী ও তরুণরা অংশগ্রহণ করে। সিরাক-সুখী জীবন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ২০ টি কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পালিত হচ্ছে এ স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ। এ সপ্তাহ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) থেকে বুধবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
এসময় ভাকুর্তা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার এম এ লতিফ বলেন, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সে কিশোর-কিশোরীরা অনেক সমস্যায় ভুগে। যা তারা কারো সাথে শেয়ার করতে পারে না। ছেলে-মেয়েদের এ সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়। আমরা এখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা, শিশু স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের সেবা এবং বৃদ্ধ জনসাধারণের সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের এখানে কৈশোর বান্ধব সেবা আগে থেকেই চালু আছে। আজকে এটার প্রচার করা হচ্ছে। আপনারা সকলেই এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা নিয়ে থাকবেন।
কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সেচ্ছাসেবী আফসানা মিম বলেন, বয়ঃসন্ধিকালে মানুষের শরীরে নানা ধরণের পরিবর্তন হতে শুরু করে। তখন কিশোর-কিশোরীরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। তাই এ সময় থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রয়োজন। কিশোর-কিশোরীরা প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারলে সুষ্ঠুভাবে নিজেদের যত্ন নিতে পারবে। এ শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সুস্থ-সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারবে। আপনারা সকলেই স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন। সকলেই কৈশোর বান্ধব সেবা কেন্দ্রে এসে স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ নিবেন।
“সিরাক বাংলাদেশ” নামে সামাজিক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একদল শিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী যুবকদের নিয়ে ১৯৯১ সালে। পরে এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন লাভ করে। পরবর্তীতে মানবাধিকার স্বাস্থ্যসেবা আইনগত সুরক্ষা ও শিক্ষার সুযোগের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনধারা উন্নত করার পরিকল্পনা করে। জীবিকার সুযোগ এবং অন্যান্য সামাজিক সহায়তা, বৈষম্যহীন লিঙ্গ সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং শান্তি নিশ্চিত করার জন্য এ সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।
বিএসডি / আইকে