নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮৩তম বারের মত পিছিয়ে গেছে।
সোমবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব এদিনও প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২৪ নভেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনি। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ওই রাতে তারা ছাড়া ঘরে ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান।
দেশজুড়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে তারপর সাড়ে নয় বছর পার হলেও মামলার তদন্তই শেষ করতে পারেনি পুলিশ-র্যাব।
হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই মো. নওশের আলম রোমানের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। তার কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রবিউল আলমের কাছে।
৬২ দিন পর ডিবি আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে ২০১২ সালের এপ্রিলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র্যাব। এরপর র্যাবের চারজন কর্মকর্তার হাত ঘুরে তদন্তভার আসে বাহিনীর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলমের কাছে।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও আবু সাঈদ।
রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানকে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিন পান। যে বাড়িটিতে সাগর-রুনি খুন হন সেই বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালও জামিনে বাইরে রয়েছেন।
বিএসডি / আইকে