স্পোর্টস ডেস্ক:
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ ইতিহাসে রেকর্ড ২ বারের চ্যাম্পিয়ন ক্যারিবীয়রা। তবে এবারের বিশ্বকাপ আসরে ভালো শুরু করতে পারেনি তারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়তে হয় কাইরন পোলার্ডের দলকে। ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে আজ (মঙ্গলবার) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে উইন্ডিজ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৪৪ রান তুলেছে উইন্ডিজ। ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস। ৩৫ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের শুরুটা অবশ্য দেখেশুনেই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে খেলতে থাকেন লুইস। তবে অন্য প্রান্তে টেস্ট মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৪৩ রান তোলেন লুইস-সিমন্স। ইনিংসের দশম ওভারে প্রোটিয়া স্পিনার শামসিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন লুইস। তার অর্ধশতক আসে মাত্র ৩২ বলে।
তবে ইনিংসটিকে আর বেশিদূর টানতে পারলেন না লুইস। কেশভ মাহারাজের বলে আউট হন ৫৬ রান করে। ৩৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ৬টি ছয়ের মারে। লুইস যেখানে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন, সেখানে টেস্ট সূলভ ব্যাটিং করেন সিমন্স। ইনিংসের ১৪তম ওভারে রাবাদার বলে বোল্ড হন ৩৫ বলে মাত্র ১৬ রান করে। তার আগেই অবশ্য মাহারাজের দ্বিতীয় শিকার বনে যান নিকোলাস পুরান। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
সুবিধা করতে পারেননি ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল। গেইল ১২ বলে ১২ ও রাসেল ফেরেন ৪ বলে ৫ রান করে। রান আউটে কাটা পড়া হেটমায়ার রানের খাতা খুলতে পারেননি। শেষদিকে অধিনায়ক পোলার্ডের ২০ বলে ২৬ রানের ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৪৪ রান তুলতে পারে উইন্ডিজ। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ১৪৫ রান।
বিএসডি/এসএসএ