খুবি প্রতিনিধি:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উত্তর সীমনায় সরকারি জমিতে স্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করে এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খুবি কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত ২৩ অক্টোবর এই অভিযোগ তুলে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উত্তর সীমান্তে অবৈধভাবে অর্ধশত বছরের চলমান রাস্তায় (এ্যাড. শহীদ মঞ্জুরুল ইমাম সড়ক) প্রাচীর নির্মাণ করে ৩০০ শ’র অধিক পরিবারকে বন্দি করে ফেলেছে। তাদের চলাচলের আর কোন উপায় নাই। প্রাচীর নির্মাণের ফলে অত্র এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি হয়েছে। পানিবাহিত নানা ধরণের রোগে শিশুরা রোগাক্রান্ত হচ্ছে ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখা গত ২০ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে স্মারক নং 05.44.4700.031.32.104.19-467 নং পত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েকে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধ করতে নোটিশ প্রদান করলেও কর্তৃপক্ষ তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী বারংবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। এলাকাবাসী আরো জানান, খুলনা বিশ্ববিদালয় কৃষ্ণনগর মৌজায় অবস্থিত, অথচ প্রাচীর নির্মাণ করছে ভিন্ন মৌজা চক মথুরাবাদের ডেরা খালসহ চলাচলের একমাত্র রাস্তায়। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান, জিবুর শেখ, এ্যাড আবুল খায়ের, হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, জোসনা আক্তার, মোঃ রেজাউল, মোঃ হান্নান শেখ, সাইফুল ইসলাম, শাফায়েত হোসেন প্রমুখ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ভাবে কিছু করছে না, প্রশাসনের অনুমতিক্রমে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানা প্রাচীর নির্মিত হচ্ছে। তাদের উল্লেখিত চিঠি’র পরে জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের আরও একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে। খুলনার প্রাক্তন জেলা প্রশাসক নিজেই এসেছিলেন এবং তিনি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অনুমতি দিয়ে গেছেন।
একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করবে এটা তো বিশ্বাসযোগ্যও নয়।
বিএসডি /আইপি