জেলা প্রতিনিধি:
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে বরগুনাগামী একটি বাস থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা পুলিশ। ওই কিশোরী নারায়ণঞ্জ থেকে অপহৃত হয়েছিল। এ ঘটনায় বাসে থাকা মাজেদা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে অপহরণকারী সন্দেহে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মাজেদা আক্তার বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।
তিনি বলেন, বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এক নারী ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানান তার ১৫ বছর বয়সী ভাগ্নি মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বাসা থেকে রাগ করে বেরিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
তবে, কিছুক্ষণ আগে (৯৯৯-এ কল করার) তার ভাগ্নি তাদের ফোন করে জানান, সে একটি বাসে আছে। বাসটি সকাল ছয়টায় বরগুনায় পৌঁছাবে। ওই নারী অনুমান করছিলেন তার ভাগ্নি হয়তো কোনো অপহরণকারীর হাতে পড়েছে। এরপর তিনি ভাগ্নিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯-এ কল দেন।
পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ কলটেকার সাজ্জাদুর রহমান ওই কিশোরীর নম্বরে যোগাযোগ করেন। তখন সে ঠিকমতো কথা বলতে পারছিল না, এর মধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী (মাজেদা আক্তার) তার কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে কথা বুঝা যাচ্ছে না বলে কেটে দেন।
৯৯৯ থেকে পুনরায় ওই কিশোরীর ফোন নম্বরে কল করে বাসের সুপারভাইজারকে চাওয়া হয়। সুপারভাইজারের কাছ থেকে বাসের নম্বর ও অবস্থান জানা যায়। একইসঙ্গে ৯৯৯ থেকে তাকে (বাসচালক) অনুরোধ করা হয় পুলিশ না আসা পর্যন্ত কিশোরীর দিকে যেন খেয়াল রাখে। এরপর ৯৯৯-এর পক্ষ থেকে ফরিদপুর জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানিয়ে কিশোরীকে দ্রুত উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
পরে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত কুমার ৯৯৯-কে জানান, ভাঙ্গা থানার পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে অপহরণের অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে বাসা থেকে বের হওয়ার পর অভিযুক্ত নারীর সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই নারী তার কাছে ভিক্ষে চায়। সে ভিক্ষে দেয়। ওই নারী তাকে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খেয়ে সে অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরলে কিশোরী দেখতে পায় সে মিরপুর চিড়িয়াখানার সামনে রয়েছে। এরপর তাকে গাবতলী বাস টার্মিনালে এনে বরগুনাগামী বাসে ওঠানো হয়।
এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এসআই জয়ন্ত কুমার।
বিএসডি / আইকে